শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- আড়াইহাজার গার্মেন্টসকর্মী রোকসানা আক্তার রুনা হত্যার ঘটনায় মামুন (২০) ও সাকিল (২৩) নামে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।(১৬ ফেব্রুয়ারি) রোববার মামলার এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো সোনারগাঁ থানাধীন চরকামালদী এলাকার শাহাজানের ছেলে মামুন (২০) ও স্থানীয় উৎরাপুর এলাকার রুপচাঁনের ছেলে সাকিল ( ২৩)।
এর আগে এ মামলার প্রধান আসামি নিহতের স্বামী গোলজারকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরের বালুরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি স্থানীয় মারুয়াদি এলাকার মৃত অহিদ মিয়ার ছেলে।
মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, নিহতের স্বামী গোলজাকে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুই ব্যক্তির নাম বের হয়ে আসে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হত্যাকান্ডে সময় ধৃত মামুন রুনার পায়ে ধরে, অপরদিকে সাকিল হাত ধরে রাখেন। এক পর্যায়ে গোলজার রুনার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রুনার উপর স্বামী সন্দেহ ছিল। যার জের ধরেই রুনার স্বামী গোলজার ও তার দুই সহযোগি মিলে রুনাকে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। পরবর্তীতে রুনার মরদেহর ময়নাতদন্তের মাধ্যমে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। প্রথমে আমরা স্বামী গোলজারকে গ্রেফতার করি এবং তার দেয়া তথ্যমতে আজ আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা তদন্তের পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, স্ত্রী রুনাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেয় স্বামী গোলজার হোসেন। কিন্তু বাধ সাধে পুলিশ। খবর পেয়ে রুনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায় রুনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই কামাল হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন ঢাকার মাটিকাটা এলাকায় থেকে স্বামী গোলজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত রুনা স্থানীয় মাহমুদপুর ইউনিয়নের রগুনাথপুর এলাকার মৃত কালু মিয়ার মেয়ে।