শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লার আলীগঞ্জ এখন মাদকের হাট, সোর্স সোহাগের শেল্টারে চলছে আলীগঞ্জ এলাকায় মাদক স্পট। থানা-পুলিশের নীরবতার কারণেই দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে মাদকের ভয়াবহতা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সোর্স সোহাগের শেল্টারে আলীগঞ্জ এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে আবুল হোসেনের ছেলে ক্যাপ জুয়েল।
ফতুল্লায় এমন কোনো পাড়া-মহল্লা মিলবে না যেখানে সোর্সদের দৌরাত্ম্য নেই। সোর্সরা এখন নিজ নিজ এলাকার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক।
সোর্সরা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অবৈধ ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপ Ñ সবকিছুর নিয়ন্ত্রক এরাই।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশের সোর্স সোহাগের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আলীগঞ্জ জং বাড়ি, তিন রাস্তার মোড়ে সেলসম্যান রাসু, রাজিব, বাচ্চা জুয়েল।
ক্যাপ জুয়েলের ঘরে বসেই মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশের কথিত সোহাগ। পুলিশের সাথে সোর্স সোহাগের ভালো সখ্যতা থাকার কারণে পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই সব মাদক ব্যবসায়ীদের আগেভাগেই সতর্ক করে দিচ্ছে এই সোর্স। এই কারণে বুক ফুলিয়ে আলীগঞ্জ এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাপ জুয়েল।
এই কারণে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সফলতা পাচ্ছে না।
আর নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েই মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে সোর্স। পরে পুলিশ তাদের ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিলের কাজে লাগিয়ে দেয়। তাদেরকে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসোহারা আদায় সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড করিয়ে থাকে। এই কারণেই বর্তমানে সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে মাদক ব্যবসা।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় সোর্সদের অপরাধ কর্মকা-, অত্যাচার ও অনাচার জনসম্মুখে প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সোর্সদের অপরাধ কর্মকা-ের ইতিহাস বছরজুড়েই রচিত হয়ে আসছে। ভুক্তভোগীরাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সোর্সদের ভুয়া তথ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন অনাকাক্সিক্ষতভাবে বিপদের সম্মুখীন হয়, তেমনি সাধারণ মানুষও হয় নির্যাতিত। তাই তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রশাসনের এখনই এই সব সোর্স ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকার সচেতন নাগরিকদের।