মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ মাসদাইর শাখার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারী ) মাসদাইর বাজার সংলগ্ন ফরিদ সাহেবের বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল হোসেন পটলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিসি ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ,জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কমিটির কার্যকরী সদস্য খাজা ইরফান আলী, শাহীন স্কুল মাসদাইর শাখার পরিচালক মো.জাহিদুল ইসলাম ও সোহেল রানা প্রমুখ।
শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন,শাহীন স্কুলটি শুধু লেখাপড়ার জন্য নয় একটি আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই অত্র স্কুলের মুল লক্ষ্য। বিগত ২৭ বছর যাবত দেশের ১৬টি জেলায় শাহীন স্কুলের কার্যক্রম সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বাংলা ও ইংরেজী শিক্ষার পাশাপাশি আবরী শিক্ষাও দিচ্ছে শাহীন স্কুল। এখানে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবেই আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজ সন্তানের ন্যায় পাঠদান করাচ্ছে। আমি অভিভাবকদের প্রতি এতটুকুই বলবো শুধু শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর বাচ্চা ছেড়ে দিবেন না আপনারা নিজেরাও সন্তানের পড়াশুনার প্রতি নজর দিবেন তাহলে আপনার সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির ছাড়াও আপনাদের কল্যাণে নিজেকে সর্বদা তৎপর রাখবে।
আমন্ত্রিত অতিথি ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন,ধর্মহীন মানুষ যেমন পশুর সমান তেমনী যার যার ধর্ম তার তার কাছে ঢাল। আপনারা প্রতিটি ধর্মের শিক্ষার্থীকে তার স্ব-স্ব ধর্মের শিক্ষাদান করবেন। প্রতিটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে তিনি বলেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলো শিক্ষকের পাশাপাশি আপনাদেরকেও আপ্রান চেষ্টা করতে হবে। মায়েদের প্রতি তিনি বলেন, আপনার সন্তানকে যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ভালবাসেন তেমনটি আপনার বাড়ির চারপাশ পরিস্কার রাখাটাও আপনার দ্বায়িত্ব। অনেকেই বাড়ির ময়লার প্যাকেটটি বাড়ির সামনে ফেলে রাখেন কিন্তু কেন ? প্রতিদিন বিভিন্ন এনজিও’র ময়লার গাড়ি আসে ময়লা নিতে।
আর এজন্য মাসে তাদেরকে ৬০ টাকা দিতে হয়। আপনারা সেই টাকা দিবেন না তাতে আপত্তি নেই তবুও ময়লাগুলো রাস্তার উপর ফেলবেন না। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু মশা কিন্তু আমাদেরই তৈরী একটি ভাইরাস। বাড়ির ভেতরে ফুলের টব,খাটের নীচেই কিন্তু ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। আমরা যদি দ্বায়িত্বতার সহিত সেগুলো পরিস্কার রাখি তাহলে এ ধরনের রোগ আমাদেরকে আক্রান্ত করতে পারেনা। আর নিজেদের হাতে তৈরী রোগের জন্য কাউন্সিলর,মেয়র বা কোন জনপ্রতিনিধি কিন্তু কিছুই করতে পারবেনা। আর এদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও কিন্তু পারবেন না। কারন তৈরীকৃত সমস্যার জন্য কিন্তু আপনারাই দায়ী।
অনুষ্ঠানটিও সঞ্চালনায় ছিলেন আবিদা সুলতানা স্বর্না ও সামসুল আরেফিন। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ।