বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

ফতুল্লায় চাঁদাবাজ হানিফগংদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও রেহাই পাচ্ছেনা  ইজিবাইক চালকরা

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- থানায় লিখিত অভিযোগ করেও ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি মো.হানিফ মিয়ার পৃষ্টপোষকতায় চিহিৃত চাদাঁবাজ জঙ্গা আলী ও সহিদগংদের ফতুল্লার পঞ্চবটী থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ইজিবাইক থেকে জোড়পুর্বক চাঁদা আদায় থেকে রেহাই পাচ্ছেনা  ইজিবাইক চালক ও মালিকরা। তাদের দাবীকৃত টাকা ও ষ্টিকার সংগ্রহ না করায় প্রতিদিনই পঞ্চবটী এলাকায় ইজিবাইক চালকদের মারধর এবং গাড়ির সিট রেখে দেয়ার অভিযোগগুলো নিত্যদিনের বিষয়ে রুপান্তরিত করে তুলেছে হানিফ মিয়ার বাহিনীর সদস্যরা।

রবিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারী ) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হানিফ বাহিনীর সদস্যরা ইজিবাইক চালকদের গাড়ির সিট ও চাবি রেখে দিয়ে টাকা আদায়ের প্রতিবাদে চালক ও মালিকরা পঞ্চবটী এলাকায় তাৎক্ষনিক বিক্ষোভও করেন। এ আগে গত ৩রা ফেব্রুয়ারী তা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দুপুর সাড়ে ১২টায় পঞ্চবটী এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন ইজিবাইক মালিক ও চালকগন।

মিছিল শেষে ইজিবাইক চালক ও মালিকদের পক্ষে গেরেজ মো.শহিদুল ইসলাম সনুরউদ্দিনের ছেলে থানা কৃষকলীগের সভাপতি মো.আবু হানিফ,মৃত.জঙ্গার ছেলে জঙ্গা আলী,মৃত.বান্দু বেপারীর ছেলে আবদুর রহমান ও সালাম চকিদারের ছেলে মো.সহিদগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।

ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালকরা জানান, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি মো.হানিফ মিয়ার পৃষ্টপোষকতায় অত্র রুটে চিহিৃত চাঁদাবাজ চক্রের মুল হোতা সহিদ ও জঙ্গা আলীর নেতৃত্বে রহমানগংরা প্রতিদিনই আমাদের চাঁদা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে।

আজ রবিবার সকাল থেকে ওরা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে চাঁদা জন্য।

এছাড়া সহিদ ও জঙ্গা আলীগংরা নাকি আরেক ব্যাটারী চালিক ইজিবাইক ও মিশুকের জন্য নতুন সংগঠন এনেছে। এখন সেখান থেকে আমাদের প্রতিটি গাড়ির জন্য প্লেট বা ষ্টিকার সংগ্রহ করতে হবে এক হাজার টাকার বিনিময়ে। তা সংগ্রহ না করায় হানিফের নির্দেশে সহিদ,রহমান ও জঙ্গা আলীগংরা আমাদেও গাড়িগুলো আটক করে চাবি ও সিটগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

 নাজমুলসহ একাধিক চালক জানান, তাদের কাছ থেকে সিট ও চাবি আনতে আমাকে ১০০ টাকা দিতে হয়েছে। শুধু আমি নই আমারমত অনেক চালককে তাদের দাবীমত টাকা দিতে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন,আমরা সাধারন মালিক ও চালকরা তা সংগ্রহ না করায় তারা আমাদের গাড়ির সিট খুলে নিচ্ছে এবং গাড়ির চাবিগুলোও তারা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গা আলী ও সহিদগংদের এরুপ অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাদের এহেন কার্যকলাপে কেউ প্রতিবাদ করলেই মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। জঙ্গা আলী ও সহিদগংরা আমাদের সাধারন চালকদেরকে বলছে আমরা ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি মো.হানিফ মিয়া ভাইয়ের নির্দেশেই তোদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি এবং নতুন সংগঠনের জন্য প্লেট বিক্রি করছি। যদি তোরা কেউ এটা না নিতে চাস তাহলে গাড়ি নিয়ে কেউ অত্র এরিয়াতে আসবিনা। যদি আহস তাইলে গাড়ি নিয়ে যাইতে পারবিনা।

এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শত মো.মোস্তফা সাধারন চালকদেরকে নির্ভয়ে রাস্তায় তাদের গাড়ি চালানোর আহবান করেন এবং যদি কেহ কোন টাকা বা চাঁদা দাবী করে তাহলে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে অবহিত করারও আহবান করেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি মো.হানিফ মিয়া এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চাঁদা আদায়ের জন্য কোন কাজ করা হচ্ছে না। আমিও সেখানে ছিলাম। আমরা কাজ করছি ইজিবাইকগুলো লাগানো ষ্টিকারগুলো তুলে ফেলার জন্য। একটি পক্ষ এ ষ্টিকার লাগিয়ে চাঁদা তুলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD