মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- আবারো শুরু হয়েছে জালকুড়ি থেকে পাগলা চলাচল রত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) থেকে চাঁদাবাজি। ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা (ইজিবাইক) থেকে কোন ভাবে বন্ধ হচ্ছে না চাঁদাবাজি। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে চাঁদাবাজির মূল হোতারা।
এ কারণেই ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা (ইজিবাইক) থেকে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চাঁদাবাজি।
চাঁদাবাজরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দিব্যি চাঁদাবাজরা করছে চাঁদাবাজি। বাধ্য হয়েই অটোচালকদের দিতে হচ্ছে চাঁদা। একের পর এক এই চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না অটো রিস্কা চালক।
এদিকে জালকুড়ী থেকে পাগলা চলাচল রত অটো রিকশা থেকে প্রকাশ্যেই চাঁদা উত্তোলন করছে ইমরান, মোটা ফারুক, পারভেজ। এ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। জালকুড়ী থেকে পাগলা চলাচল রত প্রায় ৩০০ টি অটো রিস্কা রয়েছে । প্রতিদিন প্রত্যেকটি অটো রিকশা থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে।
এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে জেলা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।জেলা আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। এদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও তাদেরকে গ্রেফতারের দাবী করেছেন অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি অটো রিকশা থেকে ৩০ টাকা করে উত্তোলন করছে। টাকা উত্তোলনের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন মসজিদের জন্য টাকা উত্তোলন করছি। কত টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় ১ লক্ষ২০ হাজার টাকা। বছরে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
সূত্রটির দাবী, ইজিবাইক ও অটোরিক্সার চাঁদাবাজি থেকে বছর শেষে অর্ধ কোটি টাকারও বেশী যে টাকা বা চাঁদা উত্তোলন করছে তারা। একটি অংশ পায় প্রশাসনের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও বিশেষ পেশায় নিয়োজিত কতিপয় ব্যক্তি সহ হোমড়া- চোমরা পাতি নেতা,লাইন ম্যান,ছিচকে সন্ত্রাসী।
ইজিবাইক, অটো রিক্সা চালক ও মালিকদের অভিযোগ, চাঁদাবাজরা বসে থেকে আমাদের কষ্টে অর্জিত টাকা জোর করে আদায় করছে। আমরা নিরুপায় তাই প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।