রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্ট কর্মী লায়লা (৩০) কে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আশরাফুল আলম (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১’ব মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মো. আশরাফুল আলম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানাড়পাড় এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত।
র্যাব জানান, রবিবার র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আশরাফুল আলমকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ফরহাদ হোসেন শেখ মো. আশরাফুল আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
এরপর তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে আশরাফুলের অবস্থান তার নিজ বাড়িতে শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় এলাকার রহমান টাওয়ারের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া গার্মন্ট কর্মী লায়লা বেগমকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ভাড়া বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে আশরাফুল।
এরপর ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আশরাফুল আলম ভিকটিমের মুখে কোল বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাসায় এসে দেখতে পায় যে, রুমের ভিতরে খাটের উপরে লায়লার মৃত দেহ সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার মুখের উপর কোল বালিশ চাপা দেয়া।
নিহত লায়লা শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাট থানার দক্ষিণ ছয়গাও গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলানং- ৪৭ (১০)১৮, তারিখ- ২৫/১০/২০১৮ ইং।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।