সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- পাগলায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী বিভিন্ন অপরাধী সিন্ডিকেট। এ সকল সিন্ডিকেটের সদস্যরা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ওইসব চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অপকর্ম প্রকাশ্যে চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নীরবতা এলাকার জনমনে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা মেরি এনডার সনের সামনে গড়ে উঠেছে ভাঙ্গারী ব্যবসা। মূলত ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে চলে চুরি, ছিনতাই, দেহ ব্যবসা। পুলিশের কথিত সোর্স জাফর ও আয়েত আলীর সিন্ডিকেটের সদস্যরা স্থানীয় মাদকসেবী, বখাটে যুবক ও ছিচকে চোরদের কাজে লাগিয়ে এবং তাদের ব্যবহার করে বিভিন্ন বাসা বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন প্রকার লোহার মালামাল, টিন, স্টিল, তামা, পেপার, বই, এল্যুমিনিয়াম, প্লাস্টিক ও টায়ার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চুরি করিয়ে তা কম দামে ক্রয় করে বিশাল মজুদ গড়ে তুলে দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
তথ্য মতে, ফতুল্লা থানা এলাকার পাগলা মেরি এন্ডারশন সংলগ্ন কয়েকটি ভাঙ্গারী দোকান প্রকাশ্যেই বিভিন্ন পণ্যবাহি ট্রাক ও সরকারি কাজের রড, সিমেন্ট সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী চুরি করলেও প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে পুলিশের কথিত সোর্স জাফর মেরি এন্ডারসন সংলগ্ন রাস্তার পাশে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে জুয়া, ছিনতাই, অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জাফর ও আয়েত আলীর নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল চোর সিন্ডিকেট।
ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা তাদের নিযুক্ত চোরেরা সরকারি-বেসরকারি দপ্তর কিংবা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে আসে।
এমন কি এসব চোরের দল সুযোগ বুঝে বাসা বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ অর্থ, স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের ব্যবহার করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে তারা।
তাই বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠবে এই চক্রটি। তাই জাফর ও আয়েত আলীকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।