বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

জালকুড়ীতে সিটি কর্পোরেশনের রশিদ দিয়ে অটো ও মিশুক থেকে টাকা উত্তোলন

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজীর অভিযোগে জেলার বিভিন্ন সড়কের বহু সংখ্যক পরিবহন চাঁদাবাজ জেলা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা (ইজিবাইক) থেকে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দিব্যি চাঁদাবাজরা করছে চাঁদাবাজি। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে চাঁদাবাজির মূল হোতারা।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ী বাস স্ট্যান্ডে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রশিদ দিয়ে অটো ও মিশুক থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এই টাকা উত্তোলন করাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রদান।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রদানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দীর্ঘ ১১ যাবত জালকুড়ী স্ট্যান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই আমরা এই টাকা উত্তোলন করছি। সিটি কর্পোরেশনের রশিদ দিয়ে টাকা উত্তোলন করা বৈধ না অবৈধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনি সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করেন। সিটি কর্পোরেশন মানে আমি আমি মানে সিটি কর্পোরেশন বলে জানান তিনি

অপরদিকে বহুদিন ধরে জালকুড়ী থেকে পাগলা চলাচল রত অটো রিকশা থেকে প্রকাশ্যেই চাঁদা উত্তোলন করছে ইদু মিয়া। এ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। জালকুড়ী থেকে পাগলা চলাচল রত প্রায় ৩০০ টি অটো রিস্কা রয়েছে । প্রতিদিন প্রত্যেকটি অটো রিকশা থেকে প্রতিদিন ৩০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এই চাঁদাবাজির নেতৃত্বে রয়েছেন জালকুড়ীর ইসরাফিল প্রধান।

 

এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে জেলা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।জেলা আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। এদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও তাদেরকে গ্রেফতারের দাবী করেছেন অটোরিকশা ও মিশুক চালকরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অটো রিকশা মধ্যে বসে ইদু মোল্লা প্রতিটি অটো রিকশা থেকে ৩০ টাকা করে উত্তোলন করছে। টাকা উত্তোলনের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন মসজিদের জন্য টাকা উত্তোলন। কত টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে এবং উল্লাহ বলেন ইদু বলেন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় ১ লক্ষ২০ হাজার টাকা। বছরে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

সূত্রটির দাবী, ইজিবাইক ও অটোরিক্সার চাঁদাবাজি থেকে বছর শেষে অর্ধ কোটি টাকারও বেশী যে টাকা বা চাঁদা উত্তোলন করছে তারা। একটি অংশ পায় প্রশাসনের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশেষ পেশায় নিয়োজিত কতিপয় ব্যক্তি সহ হোমড়া- চোমরা পাতি নেতা,লাইন ম্যান,ছিচকে সন্ত্রাসী।

ইজিবাইক, অটো রিক্সা চালক ও মালিকদের অভিযোগ, চাঁদাবাজরা বসে থেকে আমাদের কষ্টে অর্জিত টাকা জোর করে আদায় করছে। টাকা উত্তোলনের বিষয়ে কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রদানের কাছে গেলে তিনি বলেন দশ টাকা তো অতি সামান্য প্রয়োজন হলে ২০ টাকা করে নেওয়া হবে।

আমরা নিরুপায় তাই প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

চাঁদাবাজির বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ যদি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD