সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন দেউপাড়া এলাকায় বিপ্লব সরকারের দেলপাড়া মৌজাস্থ ৩.২৫ শতাংশ জমিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জোর করে প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে হাজী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেউপাড়া মৌজায় আব্দুল্লাহ হালিমের কাছ থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর ২১ তারিখে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি কৃত ১২৮৮১ন়ং দলিল মূল্যে উক্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনার জন্য আমাকে পাওয়ার অফ এ্যটনি নিযুক্ত করেন। দেউপাড়া মৌজার সে: মে: ১৪৯ নং, আর এসব ২ নং। খতিয়ান নং- সি, এসে ২৫২নং, এসে,এ ২৫৭ নং আর, এস ২৪৯ নং খতিয়ানভুক্ত। দাগ নং- সি, এসে ও এস, এ- ১৫১৬ নং, আর, এস-৩১৬৮ নং দাগের নালিশা জমির পরিমাণ ৩.২৫ শতাংশ জমি নিয়ে একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। আপস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, বিপ্লব সরকার বিজ্ঞ ২য় সাপ জর্জ আদালত নারায়ণগঞ্জ দেওয়ানী মামলা করেন। মামলা নং- ২১৯/২২ । পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে (২৫ জানুয়ারি) আব্দুর রাজ্জাক বিরোধপূর্ণ জমিতে কিছু সংখ্যক রাজমিস্ত্রী নিয়ে তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
পরে কাজে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। নির্দেশ রানাকে অমান্য করে আব্দুর রাজ্জাক তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুর রাজ্জাক সেখানে উপস্থিত না থেকে অন্য লোকদের দিয়ে ৮-১০ জন নির্মাণ শ্রমিক ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দিলে তিনি বলেন এখানে কোন নির্মাণ কাজ। কাজ বন্ধ রেখেছি। আমি তাকে তার লোকজনের ছবি দেখাতে চাইলে তিনি দেখি দেখি করে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বিপ্লব সরকার বলেন, আদালত ভবন নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা শুনছেন না, ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছেন। ওই জমির এসএ রেকর্ড, আর,এস রেকর্ড আমাদের নামে রয়েছে। এছাড়া জমির ভূমি উন্নয়ন করও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু তারা সেই জমিতে জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।