শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:-ফতুল্লার শাহজাহান রোলিং মিল বাইতুন নাজাত জামে মসজিদ সংলগ্ন রাজনের রিকশার গ্যারেজে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর চলতো। কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন সময় তার গ্রেজে অভিযান চালালে নতুন পন্থা অবলম্বন করে রাজন ও মোহন। রিকশার গ্যারেজে থেকে সরিয়ে নিজ বাড়ির ছাদে চার দিকে কবুতরের খাঁচা দিয়ে আটকিয়ে মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় প্রতি রাতেই বসে জুয়ার আসর। রিকশার গ্যারেজে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
এভাবেই মাসের পর মাস ধরে প্রতি রাতেই নিজ বাড়ির ছাদে চলে আসছে রাজন- মোহনের জুয়ার আসর।
আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কবল থেকে রেহাই পেতে জুয়ার আসর বসার পূর্বেই বাসার নীচ তলার কলাপসিবল গেইটে তালা মেরে লোক নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হয় গেইটে। বাসায় যাওয়ার তিনটি রাস্তার মোড়ে রাতভর পাহাড়ায় নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক পাহারাদার। ছাদে বসে নজরদারি করে রাজন ও মোহন।
এরা সন্দেহ ভাজন কাউকে দেখলে বা প্রশাসনের কোন গাড়ী বা দল কে দেখলে রাজন কিংবা মোহন কে ফোন করে অবগত করে দেয়। সংকেত পাওয়ার পরপর তারা ছাদের আলো নিভিয়ে দিয়ে তিন তলা বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন রুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এদিকে রমজানের মধ্যেও বন্ধ নেই তাদের জুয়ার আসর। গত (২৫ মার্চ) খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও আগেভাগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়ারীরা।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের যাওয়া-আসার ও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে জুয়ায় আশা লোকজনে জন্য। রাজন ও সুমনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করছে।
স্থানীয়রা জানায়, মোহন ও রাজন সরকার দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রকাশ্যেই জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছে। এতে করে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়ে চলছে।
পাঁচ বছরের ও বেশী সময় ধরে আক্কাস আলীর দুই পুত্র রাজন ও মোহন নিজ বাড়ীতে জুয়ার আসর বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাত আটটা থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯-১০ টা পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আসর।
সূত্র মতে জুয়ার আসরের পাশাপাশ চলে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের কাজ। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সেলটারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজন, মোহন ও সুমন।
জুয়ার আসরে পুলিশ দু’বার অভিযান চালিয়ে রাজন-মোহনসহ বেশ কয়েক জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। সামান্য কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারো জুয়ার আসরে সক্রিয় হয়ে পরে।