মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লায় ভুয়া দলিলের মাধ্যমে মায়ের জমি আত্মসাতের দায়ে দুই ছেলে, দলিল লেখক ও সাক্ষীসহ ছয়জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
(১৮ যে) বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ছেলে হলেন- মো. কামরুল আহসান এবং মো. একরামুল আহসান। অন্য আসামিরা হলেন- দলিল লেখক মো. ইউনুছ মিয়া, দলিলের সাক্ষী মীর্জা ইমতিয়াজুল, আরেক সাক্ষী মো. বশির উদ্দিন এবং দলিলের শনাক্তকারী মো. শাহাদাত হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মায়ের জমি আত্মসাতের দায়ে দুই ছেলে, দলিল লেখক ও সাক্ষীসহ ছয়জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মা মোসা. কমরের নেহার স্বাক্ষর জাল করে এবং অন্য নারীকে দাতা সাজিয়ে তার দুই ছেলে কামরুল আহসান ও একরামুল আহসান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পিলকুনি মৌজায় ১২৭ শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে নেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২০১০ সালের ৪ মার্চ মোসা. কমরের নেহার তার দুই ছেলে, দলিল লেখক, দলিলের সাক্ষীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, ২০১০ সালে একটি সিআর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলার বাদী ছিলেন কমরের নেহার। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, তার স্বাক্ষর জাল করে তার দুই ছেলে ১২৭ শতাংশ সম্পত্তি নিজেদের নামে দলিল করে নিয়েছেন। আর তাদের সহযোগিতা করেছেন দলিল লেখক ও দলিলের সাক্ষীরা। প্রকৃতপক্ষে কখনোই তাদের মা দলিলে স্বাক্ষর করেননি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন এ মামলাটির বিচার কাজ পরিচালনা শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। আসামিরা মামলাটির বিচারকাজ দীর্ঘ করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন। অবশেষে তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের সাজা ভোগ করতে হবে, তাই আদালতে আসেননি। আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেছেন।
মামলার বাদী কমরের নেহার বলেন, আমার দুই ছেলে দুষ্ট প্রকৃতির অতিলোভী। তারা পরিবারের অন্য সদস্যদের অধিকার নষ্ট করে নিজেদের নামে সম্পত্তি দখলে নেয়ার জন্য আমার স্বাক্ষর জাল করেছে। তারা আমার কথা শুনেনি। পরে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। আমি আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।