রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন, এই ইউনিটি হলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ফিটিং সহ বিভিন্ন অপকর্মে জর্জরিত। সম্প্রতি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং।
এদিকে তরুণ-তরুণীদের একত্রে দেখলেই শুরু হয় তাদের হয়রানি। তরুণ তরুণীদের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিং করে তারা। এবং সেই তুলা ছবি দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তেমনি এক ঘটনার জন্ম দিলেন কুতুবপুরের একদল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সন্ত্রাসী খান মোঃ গেন্দু ও মাদক ব্যবসায়ী খলিল।
গত বুধবার (৩১ মে) দুপুর ১ টায় ঘটনাটি ঘটেছে পাগলা নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, দেলপাড়া হাজী মিছির আলী কলেজে পড়ুয়া এক মেয়েকে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত বাড়িতে তুলে নিয়ে আটক করে ১ লাক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এমনকি কিশোরীকে জোরপূর্বক অজ্ঞাত একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে আটক করে তৌহিদ নামের ছেলের সাথে আপত্তিকর ছবি ধারণ করে তাদের মোবাইলে। পরবর্তীতে কিশোরীর পরিবারের লোকজনের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে কিশোরীর স্বজনদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরও মারধর করে।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে এবং দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করায়, তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার করে গেন্দু ও খলিলের কিশোর গ্যাং বাহিনী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নুসরাত জাহান মিম ফতুল্লা মডেল থানায় তৌহিদ (২১), নিহাদ (২৩), জিহাদ (২৩), ইব্রাহিম (৩৫), ইউনুস (২৮), ইমু (২৬), গেন্দু (৩২), খলিল (৩৫), সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু অভিযোগে খান মোঃ গেন্দুর নাম থাকলেও রহস্যজনক কারণে মামলা থেকে গেন্দুর নাম প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গেন্দু ও খলিল বাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছে বিশাল সিন্ডিকেট। কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডে গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং বাহিনী। তাদেরকে দিয়েই চুরি, ছিনতাই, ফিটিং বাণিজ্য, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে নিয়োজিত করেন।
এখনই যদি এসব কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণকারীদের আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এর থেকে বেশি অপরাধ সংগঠিত হবে।