শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:-নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘুমন্ত স্ত্রীর ও সন্তানের মুখ এসিডে ঝলছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) এ ঘটনায় দুপুরে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা হয়েছে।এর আগে ২৩ জুন উপজেলার গোপালদী পৌরসভার সদাসদী কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোর্শেদা আক্তার এবং তার ছয় বছরের মেয়ে মারিয়া বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মোর্শেদা আক্তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর একমাত্র মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে মা সাহেদা বেগমের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। পাঁচ মাস আগে গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে খোকন মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে মোর্শেদা আক্তারের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সন্তানকে তার নানার বাড়িতে রেখে আসতে মোর্শেদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী খোকন মিয়া।
এরই মধ্যে মাস তিনেক আগে মোর্শেদাকে বেধড়ক পিটিয়ে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর থেকে মোর্শেদা মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। গত ২৩ জুন রাতে খোকন শয়নকক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে তার স্ত্রী মোর্শেদার ডান পায়ের উরু ও ছয় বছরের শিশু সন্তান মারিয়ার মুখ ঝলছে যায়। এসিডের যন্ত্রণায় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর ভুক্তভোগীর মা সাহেদা বেগম বাদী হয়ে খোকন মিয়াকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের সাত দিন পর মঙ্গলবার পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত খোকনকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করতে পারবো।