বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় চাঁদা চেয়ে না পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা সহ এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
(৫ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লা থানাধীন চর কাশিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী মুসলিমা আক্তার (৩২) মধ্য নরসিংপুর এলাকার ওহিদ হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী নারী মুসলিমা আক্তার বাদী হয়ে চর কাশিপুর এলাকার শুক্কর মাহমুদ এর ছেলে মোঃ হাবীব, একই এলাকার মাহি মিয়ার ছেলে রাজুসহ অজ্ঞাত আরোও ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন হাবিব আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সহযোগীদের নিয়ে চর কাশিপুর ও তার আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ালেও অনেকে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের উপর জুলুম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, কাশিপুর মৌজার আর এস ২৭০০ নং দাগে আমার বড় বোন তাসলিমা বেগম ৪০ পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ১৪শতাংশ জমি, আয়েশা বেগমের ২শতাংশ ৮০পয়েন্ট, রাহিমা বেগমের ২ শতাংশ,আবু মিয়ার ২ শতাংশ, রেনু বেগমের ২ শতাংশ, রবি হোসেনের ২ শতাংশ জায়গা নিয়ে বসবাস করে আসছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে,কিছুদিন যাবৎ আমার বোনসহ অন্যান্য মালিকদের কাছে অযৌক্তিকভাবে টাকা দাবি করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি,হুমকি-ধামকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় (৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উক্ত জমিতে নির্মাণ কাজ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রবেশ করে তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
ঘটনাটি আমার বোন তাসলিমা বেগম আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিব গংদের দেয়াল ভাঙচুর করতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এবং হুমকি দেয় তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কোন ধরনের নির্মাণ কাজ করতে দিবেনা । এ ঘটনায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারগুলোর।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, হাবিব চর কাশিপুর, নরসিংপুর ও এর আশপাশের এলাকায়। নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে,আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ছবি তুলে,ব্যানার-ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করছে।
চাঁদা দাবি ও ভুক্তভোগী নারীকে মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ করেছে সেটি মিথ্যা। আমি কাউকে মারধর করিনি। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে ভালো দাবি করে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে ফতুলা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শহিদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।