রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ট্রেড লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, বা- ড্রাগস, কোন কাগজ পত্র নেই, তবুও তিনি ডাক্তার, দেখছেন রোগী দিচ্ছেন ঔষধ, এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে কুতুবপুরের পশ্চিম রসুলপুরের জননী ফার্মেসীর মালিক সোহাগের বিরুদ্ধে।
জানা যায় নারায়ণগঞ্জ সদর কুতুবপরের পশ্চিম রসুলপুরে এক প্রেগনেট নারী জ্বরের ঔষধের জন্য এলাকার জননী ফার্মেসীতে গেলে সোহাগ তাকে প্রাথমিক কিছু ঔষধ দিয়ে থাকেন খাওয়ার জন্য, সেই ঔষধ খেয়ে ভুক্তভোগী নারীর শারীরিক অবস্থা আরো বেশী খারাপ হতে থাকলে সে পুণরায় জননী ফার্মেসীতে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানাতে গেলে তিনি একটি স্ট্রিপ কাঠি দিয়ে প্রস্রাব পরীক্ষা করে নিয়ে আসতে বলেন। পরের দিন ভুক্তভোগী নারীকে তিনি একটি (এমএম কিট ) নামীয় ঔষধ দিয়ে বলেন এই ঔষধ খেলে আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন। ঔষধটি খাওয়ার পরে তার শারীরিক অবস্থা আরো বেশী খারাপ হলে। ভুক্তভোগী নারী এলাকার অন্য ফার্মেসিতে বিষয়টি জানালে ঐ ফার্মেসির মালিক তাকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এবং তাকে বলেন আপনাকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে আপনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেছে এর জন্য আপনার ব্লেডিং হচ্ছে সে কারণে আপনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আপনি তারা তারি ভালো কোন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিন। চিকিৎসা শেষে তিনি এলাকার স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে উক্ত এলাকার সরকার দলীয় পাতি নেতা জামাল উদ্দিন বাচ্চু তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে জননী ফার্মেসির মালিক সোহাগের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী নারীকে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখায় এবং বাড়িওয়ালা কে বলে দেয় যে ঐ নারীকে বাসা ও এলাকা থেকে বের করে দিতে।
এই বিষয় জামাল উদ্দিন বাচ্চুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের কুতুবপুরের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি এলাকার লোক মারফত জানতে পেরেছেন তিনি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিষয়টি দেখার জন্য। ভুক্তভোগী নারীকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হয়েছে কেন জানতে চাইলে বাচ্চু জানান এটা আমার একার সিদ্ধান্ত না পঞ্চায়েতের পরামর্শে বিচার সালিশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বলেন এমন কোন ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকলে খুবই দুঃখ জনক।