শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- মানববিধ্বংসী জুয়ায় জয়জয়কর অবস্থা এখন পাগলা নয়মাটি ভাবির বাজার এলাকায়। কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি ভাবির বাজার সংলগ্ন সাদ্দামের রিকশার গ্রেজে এখন জুয়াড়িদের রমরমা আসরের ভেন্যু। জুয়ার আসর বন্ধে জেলা ডিবি ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। ৪ ভাই সাদ্দাম, কালু, লিটন ও স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ করছে এই জোয়ার আসনটি।
জানা যায়, বিশেষ পেশার লোক, পুলিশ, থানার ক্যাশিয়ারকে ম্যানেজ করে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জুয়াড়িরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠিত হয়ে থাকে। জুয়ার আসরের চারপাশে লোক পাহারা থাকে। অপরিচিত কাউকে দেখলেই টেলিফোনে সতকর্ করা হয় এবং সবাই নিরাপদে পালিয়ে যায়। এসব এলাকায় পুলিশি হানা হলেও আগেই পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার সম্ভব হয় না। ফলে কোনো ক্রমেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না জুয়াড়িদের তৎপরতা। দিন দিন যেন আশঙ্কাজনকহারেই বাড়ছে জুয়াড়িদের সংখ্যা। সেই সাথে উদ্বিগ্ন হচ্ছে অভিভাবক ও সচেতন মহল।
এলাকাবাসী জানায়, সাদ্দাম ও তার তিন ভাই দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছে। শুধু জুয়াই নয়, পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেছে তারা। এতে করে এলাকায় মাদকের হাটে পরিণত হয়েছে।
গত (৯ ডিসেম্বর)শনিবার রাতে হাজিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাজী রেজাউল অভিযান পরিচালনা করে ১০ জুয়ারিকে গ্রেফতার করে। এর কিছুক্ষণ পর তিন জুয়ারিকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন বলে জানায় এলাকাবাসী। এবং ৭ জনকে জুয়াআইনে মামলা প্রদান করেন। কিন্তু মূল হোতা সাদ্দাম, লিটন, কালু ও স্বাধীনকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইসাকের জানতে চাইলে তিনি জানান, সাদ্দামের রিকশার গ্রেজে জুয়া খেলা হয় শুনে আমি নিজে গিয়ে জুয়ার আসরটি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি শুনেছি আবার জুয়া খেলা শুরু করেছে এলাকাবাসী আমাকে বলেছে। জুয়ার আসর বন্ধে করতে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া জানান, জুয়ার আসরের খবর পেলেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে সামাজিকভাবেও এদের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে বন্ধ করতে হবে।