রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাসা ভাড়া ঠিক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
(১০ ডিসেম্বর) দুপুরে (নাসিক) ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার মো. রাকিব হোসাইন (৩৮), একই ওয়ার্ডের টেডি মফিজের ছেলে মো. মহাসিন (২৮), মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. নাবিল হাসান পলাশ (৩৫) এবং মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন রুবেল (২৯)।
পরে ভুক্তভোগী ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নাবিল হোসেন পলাশ (৩৫) এবং মো. হৃদয় হোসেন রুবেলকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ পূর্বে আদমজী ইপিজেডস্থ অনন্ত অ্যাপারেলেন্স নামক একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। তবে বর্তমানে তিনি চাকরি ছেড়ে একজন গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করে আসছেন। তার বসবাসরত ভাড়াটিয়া বাসাটি পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নতুন বাড়ি খুঁজছিলেন। সে লক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১১টায় বের হন তিনি। উক্ত মামলার এক নম্বর আসামির সঙ্গে পূর্বে একই কারখানায় চাকরির সুবাদে পরিচিত তারা। তাই বাড়ি পরিবর্তনের কথা তার সঙ্গে শেয়ার করলে ফোনের মাধ্যমে ওই অভিযুক্ত জানান যে, তার পরিচিত একটি খালি বাসা রয়েছে। ওই বাসাটি ভাড়া নিতে হলে দেখতে যেতে হবে।
আরো জানা গেছে, পরবর্তীতে রাকিব হোসাইনের কথা অনুযায়ী ওই নারী তার সঙ্গে বাসা দেখার জন্য কদমতলী পশ্চিমপাড়া খালপাড়স্থ আশরাফ উদ্দিনের বিল্ডিংয়ের একটি রুমে যান। কিন্তু সেখানে গেলে ঘটে ভিন্ন ঘটনা।আগে থেকেই বাকি তিন আসামি ওত পেতে বসেছিলেন।
যখনই গৃহবধূ ঘরে ঢোকেন তারা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে ওই নারীকে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আটক রেখে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। পরে তাদের হাতে-পায়ে ধরে স্বামী ও সন্তানের কথা বলে কান্নাকাটি করলে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণের মামলার দুই আসামিকে এরমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।