বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কামতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও ভাসুর পলাতক আছেন।
নিহত রেখা বেগম উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত গনি আমিন ও তার ভাই নাজির ও কামাল পালিয়ে যায় একই গ্রামের জমির আমিনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ৮ বছর আগে গনি আমিনের সঙ্গে রেখার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে রেখার ওপর নিযার্তন চলতো। অমানিবক নিযার্তনের কারণেই ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
নিহতের ভাবি ছানোয়ারা বেগম জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত দেখে আশপাশের মানুষজনকে ডেকে এনে রেখাকে নিচে নামিয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন জানান, বিয়ের পর থেকে গনী আমিন কাজকর্ম করতো না নেশা করতো। যৌতুকের জন্য সে রেখাকে প্রতিনিয়ত চাপ দিতো। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।
রোববার রাতে ঝড়বৃষ্টিতে গাছের আম পড়ে সেই আম ঘরে না আনার অজুহাতে স্বামী গনি আমিন সোমবার বিকেলে রেখাকে মারধর করে। এসময় ভাসুর নাজির আলী রেখাকে মারধর ও গালিগালাজ করে। প্রতিনিয়ত স্বামী-ভাসুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, লাশটি ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। ওখানে নিহতের সুরতহাল করা হবে। পরে ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।