সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২৪ বছর বয়সী গৃহবধূ লায়লা নূর মজুমদার নিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আদালতে নিজের দায় জবানবন্দি দেন গ্রেফতার মো. সোহাগ।
আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনের আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া।
ওসি বলেন, সোহাগের কথায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন লায়লা। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ সুপারিবাগানে ফেলে রাখেন সোহাগ ও তার বন্ধু রফিক। হত্যার পর তাকে ধর্ষণ করেন রফিক। তবে ঘটনার পর থেকে রফিক পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, ১৮ আগস্ট দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপলোয়ান গ্রামের গনি মিয়ার সুপারিবাগান থেকে লায়লার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সকালে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় লায়লার মোবাইলসহ সোহাগকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোহাগ একই এলাকার বাসিন্দা। পরে সোহাগ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। লায়লা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দুবাইপ্রবাসী আরিফুর রহমানের স্ত্রী।
জবানবন্দিতে সোহাগ জানান, লায়লার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের টানে ১৬ আগস্ট বাবার বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তার সঙ্গে পালিয়ে আসেন লায়লা। একই দিন বিকেলে লায়লাকে নিয়ে রায়পুরের চরপলোয়ান গ্রামে বন্ধু রফিকের মামির বাড়িতে যান সোহাগ। এরপর লায়লার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই রাতে তাদের ঘর থেকে বের করে দেন রফিকের মামি। পথে সুপারিবাগানে শ্বাসরোধে লায়লাকে হত্যা করেন সোহাগ ও রফিক। হত্যার পর তাকে ধর্ষণ করেন রফিক। একপর্যায়ে তারা মরদেহটি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।