মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ভেতর জহিরুল ইসলাম (৩৭) নামের এক ফার্মেসি কমকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
গত (২১ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ নতুন সেবা জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা ক্লিনিকের সামনের বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনায় ক্লিনিকের পরিচালকসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. কামরুল ইসলামের দাবি, তার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ নতুন সেবা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মেসির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসেন। পরবর্তীতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে মোবাইলে জানানো হয় তার ভাই মারা গেছেন। তিনি ও তার স্বজনরা হাসপাতালে এসে দেখেন জহিরুল ইসলামের লাশ শোয়ার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তার হাত-পায়ে ইনজেকশন পুশ করার দাগসহ হালকা রক্তের ছাপ রয়েছে। তিনি হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যান।
তার দাবি, তার ভাইকে হত্যা করে লাশ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
রাতে ডিউটিতে ছিল সবাইকে ডেকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ক্লিনিকের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও আক্তারুজ্জামান ও রাতের ডিউটি চিকিৎসক ডা. নাজমুল আলম হাসান ও ওয়ার্ড বয় মিন্টু মিয়াকে আটক করে।
সোনারগাঁ নতুন সেবা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, জহিরুল ইসলাম আমাদের ক্লিনিকের একজন কর্মকর্তা। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে আসি। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা জরুরি। মৃত্যুর বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
হাসপাতালের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি রাতে ক্লিনিকে ডিউটিতে ছিলেন। একসঙ্গে তারা টিভিতে খেলা দেখেছেন। রাত ১২টার দিকে রোগীর চাপ কম থাকায় তিনি তার রুম এ ঘুমিয়ে পড়েছেন। সকাল ১০টার দিকে তাকে ডেকে না পাওয়ায় ভেতরে গিয়ে দেখেন তিনি শুয়ে আছেন। পরে পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি মারা গেছেন। পরবর্তীতে তার পরিবারকে জানানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এটি হত্যাকাণ্ড নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়াও ক্লিনিকের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে।