মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন,বন্দর থেকে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের লিষ্ট করবো। যারা মারা গেছে তাদের সন্তান বা পরিবারের লোক নিয়ে আমরা একটা লিষ্ট করবো। সারা দেশে আমরা বন্দর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা প্রজেন্মের সঠিক পরিচয় বের করবো। আমাদের মৃত্যুর পর যাতে আমাদের পরিবার এই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে পারে।
(২১ মার্চ) মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রঙ্গণে ওই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেলিম ওসমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত হওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরী করে দিয়েছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যদি কখনো চলে যাই যাতে আমাদের সন্তানরা একত্রিত থাকতে পারে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কমপ্লেক্স তৈরী করা হয়েছে। আমরা জীবনের রিস্ক নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছি। হয়তো আমরা সমান ভাবে মূল্যয়ণ পাই না, কিন্তু ইতিহাস কথা বলে।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যুদ্ধে যাবো। রাইফেল ছিলো না কিন্তু বাশেঁর লাঠি নিয়েই প্রস্তুত হয়েছিলাম। ভারত আমাদের সহযোগীতা করেছিলো। তবুও আমরা ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, ৯মাসে কিন্তু একটা সন্তানের জন্মও হয় না। কিন্তু আমরা বীরেরা বলতে পারি আমরা ৯ মাসে একটা দেশ স্বাধীন করে দেখিয়েছি।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিএম কুদরত এ খোদা’র সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের কমান্ড’র সাবেক কমান্ডান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা কমান্ড’র সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ. লতিফ। আরও উপস্থিত কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।