বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাংবাদিক মো. ইলিয়াসকে (৫২) ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে৷মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
গত রোববার (১১ অক্টোবর) রাত পোনে ৮টার দিকে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধারা চৌরাস্তা বাজারে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক ইলিয়াসকে৷সে ওই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে৷স্থানীয় দৈনিক বিজয়ের নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে কর্মতর ছিলেন ইলিয়াস৷
সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ওই রাতে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন৷ মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার মুল আসামী তুষারকে (২৮) আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা৷
পরে অভিযান চালিয়ে রাতেই মিনা (৬০) ও মিসির আলী (৫৩) নামে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
মামলায় অন্য আসামিরা হল-হাসনাত আহমেদ তুর্জয় (২৪), মাসুদ (৩৬), সাগর (২৬), পাভেল (২৫) ও হজরত আলী (৫০)। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানান বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম৷
পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যমতে, নিহত সাংবাদিক ইলিযাস মৃত জামান মিয়ার দুই ছেলে তুষার ও তুর্জয়ের অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয় পত্রিকায় লেখালেখি করেছিলেন। এ ঘটনায় আটকও হয়েছিল তারা। এর জের ধরেই ইলিয়াসকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয়রা আরও জানান, বেশ কয়েকদিন আগেও সাংবাদিক ইলিয়াসকে মাসুদ প্রধানের অফিসের ভিতরে মারধর করে পরে স্থানীয়রা মিমাংসা করে দেন। এছাড়াও সাংবাদিক ইলিয়াসকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতো বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত পোনে ৮টার দিকে সংবাদকর্মী ইলিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ইমন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা তার৷
এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে তিনজন গ্রেফতার এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে৷ অবৈধ সংযোগের বিষয় নিয়ে বিরোধের একটি বিষয় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে৷ গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিস্তারিত তদন্তের পর হত্যার মূল কারণ জানা যাবে৷