রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- এক তরুণীর (১৯) সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে ধরা খেয়েছেন দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জিল্লুর রহমান সুমন। (২৩) রবিবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বেগুনগাঁও গ্রামে ওই তরুণীর বাসায় রাত কাটাতে গিয়ে ধরা খান তিনি।
আটক ওই চিকিৎসকের বাড়ি ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায়। পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার বেগুনগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের কন্যা ওই তরুণীর সঙ্গে চিকিৎসক সুমনের দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। এরপর স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন চিকিৎসক জিল্লুর রহমান সুমন। এরপর ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ভাড়া বাড়িতে থেকে একান্তে রাত কাটাতে শুরু করেন।
রবিবার (২৩ মে) রাতে ওই তরুণীর বাসায় রাত কাটাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে ওই চিকিৎসকের পরিবারের লোকজন। চলে দেনদরবার। বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে অবশেষে সোমবার (২৪ মে) বিকেলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হন চিকিৎসক সুমন। পরে এলাকাবসীর সামনে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি।
পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের কথামতো তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।