মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এবার বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।ঞ
(২২ আগস্ট) রোববার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এসব মামলা করা হয়। এর একটি করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন। আরেকটি করেন একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. বাবুল।
দুই মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধাদান, বিনা উসকানিতে বিসিসি’র কর্মচারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ, হামলা, গুলিতে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানিসহ ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আবেদনে ইউএনও ছাড়াও ১৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ আরো ৪০-৫০ জন আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আবেদনের শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ। তিনি সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হলো।
বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে তিনি দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেয় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।