মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক মামুন মণ্ডলের সঙ্গে মনমালিন্যের জেরেই খুন হন জেসমিন খাতুন আয়না। শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক পান করিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন মামুন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক। নিহতের ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মামুন মণ্ডলসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের কারণ।
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক বলেন, জেসমিন খাতুন আয়নার স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক মামুন মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রস্তাব দেন আয়নাকে। কিন্তু তিনি বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরই মধ্যে আয়নার স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিলের দেশে ফেরার খবরে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মামুন। এক পর্যায়ে আয়নাকে চেতনানাশক মিশ্রিত শরবত পান করিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
আবু তারেক আরো বলেন, আয়নার লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল। এ থেকে আমাদের সন্দেহ হয়- তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার একদিনের মধ্যেই জব্দ করা হয় রক্তমাখা ছুরি, চেতনানাশক মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল, হত্যাকারীর স্যান্ডেল ও লুঙ্গিসহ বিভিন্ন আলামত। এরই সূত্র ধরে তদন্ত চালানো হয়। গ্রেফতার করা হয় নিহতের পরকীয়া প্রেমিক মামুনকে।
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাবদপুরে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রী আয়নাকে। ৮ সেপ্টেম্বর রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই আব্দুর রউফ।