শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- রাতে বিয়ে কনের বিয়ে। আয়োজনে ছিল ধুমধাম করে। কিন্তু বিয়ের দিনে (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ধর্ষণের শিকার হন কনে।
বিষয়টি শুরুতে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কনের পরিবার। পরে রাতে জানাজানি হলে বিয়ে ভেঙে যায় তরুণীর।
এ ঘটনার ভুক্তভোগীর মা রোববার দুপুরে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। ওই দিনই ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আব্দুর রহমান বাবলু শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশী তরুণীকে রান্না করে দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে বাবলুকে আটক করে। তবে রাতেই ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলে সারাদিন বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেন কনের পরিবার। কিন্তু বিষয়টি রাতে জানাজানি হলে বিয়ে ভেঙে যায়।
ভুক্তভোগীর দাদা বলেন, শনিবার রাতে তার নাতনীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল একই গ্রামের রবিউলের সাথে। কিন্তু সকালে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে গেছে।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রামবাসী ধর্ষককে আটক করলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে সে অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে পুলিশ বাবলুকে গ্রেফতার করে।
পার্বতীপুর থানার ওসি ইমাম জাফর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।