বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

৭০ ফুট গভীর নালার আবর্জনা সরিয়ে সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন সাদিয়া। একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যান নালায়। প্রায় সাড়রে চার ঘণ্টা তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর শেষমেষ সাদিয়ার মরদেহ মিললো আবর্জনার স্তুপে।

সোমবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদমতলী এলাকায় নালায় পড়ে যান সাদিয়া।

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, সাদিয়া নালায় পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের জন্য মামা লাফ দেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে নালার বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুঁজি করেন ডুবুরি দলের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ডুবুরি টিম প্রথমে নালায় নেমে তল্লাশি করে। কিন্তু সেহেরীনকে পাওয়া যায়নি। এরপর ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রেন দিয়ে আবর্জনা অপসারণ শুরু হয়। একপর্যায়ে সিটি করপোরেশনের আরেকটি ক্রেনও ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে যোগ দেয়। ততক্ষণে ওই সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তরুণরাও আবর্জনা অপসারণে যোগ দেন।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এর ভেতরে আরেকটা নালা পাওয়া যায়, সেটাও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত ৫০-৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময় অপরিকল্পিতভাবে সেই নালা রেখেই আরেকটি নালা করা হয়। আগের সেই নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। কমপক্ষে সেখানে তিন টন আবর্জনা জমে আছে। অনেক চেষ্টা করেও ডুবুরি সেখানে যেতে পারেনি। সেটা আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দিকে দক্ষিণে।

এরপর দুই ক্রেন মিলে সেই নালার স্ল্যাব উঠিয়ে এক টনের মতো আবর্জনা-মাটি অপসারণ করে ফায়ার কর্মীরা। সেই নালার (কমপক্ষে সড়ক থেকে ৭০ ফুট গভীর) আবর্জনায় আটকে ছিল সাদিয়া। নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে ওই নালা থেকে নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD