সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- টাঙ্গাইলে ব্লেড দিয়ে বজলুর রহমান নামে এক বিএনপি নেতার গোপনাঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে দুই শ্যালকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
(৬ জুন) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বড় বেলতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৪০ বছর বয়সী বজলুর রহমান একই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও এনজিও কর্মকর্তা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আর্থিক সহায়তা করছেন বজলুর রহমান। নিজের এনজিও থেকে ঋণ দিয়ে দুই শ্যালককে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন। ওই ঋণের কিস্তির টাকা আনতে শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। সেই সুবাদে দুই শ্যালকের স্ত্রীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপর অন্য নারীর সঙ্গে বজলুর রহমানের সম্পর্ক আছে বলে জানতে পারেন দুই শ্যালকের স্ত্রী। এ নিয়ে তার সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটিও হয়। এরই জেরে ৬ জুন গভীর রাতে কৌশলে বজলুর রহমানকে ডেকে আনেন তারা। এরপর দুজন মিলে একসঙ্গে বজলুরকে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন।
ইউপি সদস্য ও বজলুর রহমানের চাচাতো ভাই মতিয়ার রহমান পলু বলেন, ঘটনাটি আত্মীয়দের মধ্যে হওয়ায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি। দুই পক্ষ থেকে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত দুই শ্যালকের স্ত্রী জানান, নিয়মিত তাদের যৌন নির্যাতন করতেন বজলুর রহমান। ওইদিন রাতে দুজনকে একসঙ্গে নির্যাতন করার চেষ্টা করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন।
পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি লোকমুখে জানতে পেরেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাজেদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হলেও কোনো পরিবারই অভিযোগ দেয়নি। পারিবারিকভাবে বিষয়টির মীমাংসা করেছে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।