সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- রংপুরের কাউনিয়ায় তিন প্রেমিক মিলে স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ইভারকে (১৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতারিত হওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
(১৭ আগস্ট) বুধবার রাতে গ্রেফতার নাহিদুল ইসলাম সায়েম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, সায়েমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর দুই প্রেমিককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত সানজিদা আক্তার ইভা কাউনিয়া উপজেলার কুর্শার গড়াই গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। পাশের পীরগাছা উপজেলার বড়দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়তো সে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ করতে থাকেন।
এদিকে ওইদিন রাতে উপজেলার হরিচরণ লস্করপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি সানজিদার বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের ১৮টি চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই রাতেই মরদেহ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ বলছে, মরদেহের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে পাওয়া খাতার লেখার সূত্র ধরে নগরীর মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে নাহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর নাহিদুল এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে নাহিদুল জানান, বছর তিনেক আগে সানজিদার সঙ্গে পরিচয়ের পর তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকে তাদের গভীর প্রেম চললেও কিছুদিন আগে সানজিদার একাধিক প্রেমের ঘটনা জানতে পেরে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। প্রতিশোধ নিতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর শাপলা হলে তারা একসঙ্গে সিনেমা দেখে বিকেলে পীরগাছার একটি পার্কে ঘোরাঘুরি করে। এরপর সন্ধ্যায় ফিরে আসার পথে সানজিদার অপর দুই প্রেমিকসহ ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে তিনজন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সটকে পড়েন।
এদিকে সানজিদার বাবা ইব্রাহিম খানের দায়ের করা মামলায় নাহিদুলকে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।