শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতেন চেয়ারম্যান, বিয়ের কথা বলতেই নারীর নগ্ন ছবি ভাইরাল

সারাদেশে:- প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ের প্রলোভনে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন। আবার সেই দৃশ্য গোপনে ধারণ করে রাখেন লম্পট চেয়ারম্যান।

ব্ল্যাকমেইল করে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে বাধ্য করেন। বিয়ের কথা বললে রাজি না হয়ে উল্টো নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলা করেছেন এক নারী।

ভুক্তভোগী নারীর গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলায়। পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে তিনি সাভারের আশুলিয়া থাকেন। তিনি ১৬ মে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলাটি করেছেন আশুলিয়া থানায়। এর আগে ওই নারী একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কসহ নানা অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাসে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন। সেই দৃশ্য গোপনে ধারণ করে রাখেন। এরপর তাকে ব্ল্যাকমেইল করে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে বাধ্য করেন। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে শফিক রাজি হন না। উল্টো নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে চেয়ারম্যান ওই নারীর সম্মানহানি করেছেন।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের সূত্র ধরেই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যাওয়া হতো। এক সময় জানতে পরি ওই নারীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক আছে। তখন থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। শারীরিক সম্পর্ক এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি এর কিছুই জানি না।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, এক নারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD