মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- সম্প্রতি পুলিশের এক ডিএসবির সদস্যের সঙ্গে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যে ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে নানারকম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটির বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরু সংবাদ নারায়ণগঞ্জের সাথে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, নজরুল কলেজের মেধাবী ছাত্র ও কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা (ভিপি) রাজিব তালুকদার কে প্রকাশ্য দিবালোকে নিঃস্বংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।দীর্ঘ সাত মাস পার হয়ে গেলেও আসামীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে আমারা পাগলায় মানববন্ধনের আয়োজন করি।মানববন্ধনে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল আমার লোকজন।
কিন্তু মানববন্ধনে যোগদেওয়ার উদ্দেশ্যে আসার সময় ডিএসবির সদস্য আব্দুল মতিন কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারের অফিস থেকে বের হয়ে রড হাতে নিয়ে মানবন্ধনে আসা লোকদের ধাওয়া করে। এই ঘটনাটি আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি।পরে অবশ্য তিনি সরি বলে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। এরপর সেখানেই বিষয়টি শেষ হয়ে যায়।কিন্তু ২ দিন পর এই বিষয় নিয়ে নিউজ কেন হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ওই দিনই তার সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি সমাধান হয়ে গেছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরুর দাবি, কিছু লোক ভিডিও করে তাকে অপব্যবহার করছে। এই ভিডিও ভাইরাল বেশি আমাদের বিপক্ষের লোকগুলা এসব করতেছে। এই ঘটনা দেখে দাঁড়িয়ে পড়া উৎসুক জনতার মধ্য থেকে কেউ একজন এই ভিডিওটি করেন। পরবর্তীতে সেটাই ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। এবং এই ঘটনার পরে ফেসবুকে বেশ কিছু ফেক আইডি তৈরি করে আমার সম্মান নষ্ট করার পায়তারা করছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরু আরো বলেন, থানা পুলিশ-তো আমাদের এই কর্মসূচি নিষেধ করে নাই। ডিএসবির সদস্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত বাধা দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। যদি এমন কোনো আদেশ থাকত তাহলে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের নিষেধ করা হতো।
আমরাও আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। ডিএসবির সদস্য আব্দুল মতিনের সাথে আমার তেমন কোন সম্যা হয়নি। সেখানে সব সমাধান হয়ে গেছে।কিন্তু একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে।আল্লাহ পাশে থাকলে কেউ ষড়যন্ত করে কিছুই করতে পারবেনা।