মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- জেলা ভেটরিনারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দ্বায়িত্ব অবহেলার কারনে হাঁসের খামার দিয়ে আর্থিকভাবে পঙ্গু হওয়ার উপক্রম হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীগঞ্জের হাসেঁর খামারী রেজাউলের। স্বপ্ন ছিলো ছোট্র এ খামার দিয়েই ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে কিন্তু বুকে লালিত সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
খামারী রেজাউল জানান, ১১০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে সে এ খামারটি গড়ে তোলে। প্রায় ৫ মাসে সে হাসেঁর বাচ্চাগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে। কিন্তু হঠাৎ অজানা রোগে তার খামারে থাকা প্রায় ৮০০ হাঁস মরে যায়। সে আরো জানায়,হঠাৎ করে মরতে থাকা হাসঁগুলো বাচাঁতে পশু চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হলে তারা আমাকে তেমন কোন ফলপ্রসু ফলাফল না দেয়ায় এখন আমার খামারটি শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাড়িয়েছে।
সে আরো জানায়,আমি আমার খামারের হাসঁগুলো মরতে শুরু করলে পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদেও পরামর্শ নিতে আসলে তারা আমাকে প্রথমে পোষ্টঅফিসের সামনে থাকা পশু হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে তারা আমাকে বলেন,এটচা আমাদের কাজ নয় আপরি বরং জেলা পশু হাসপাতালে যান। এভাবে এখান থেকে ওখানে ছুটোছুটি করতে করতে আমার খামারের প্রায় ৮০০ হাস মারা যায়।
পওে জেলা অফিসের ডাঃ কবির উদ্দিন আহমেদ পোষ্টঅফিসের পাশে থাকা হাসপাতালের এক চিকিৎসককে বললে তিনি একজনকে আমার খামারে পাঠান এবং সেই ব্যক্তি ডাক্তার কিনা তাও জানিনা। তিনি একটি মরা হাসঁকে পোষ্টমডেম করার জন্য আমার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে যান এবং কি কারনে এভাবে হাঁসগুলো মরছে তার কোন সদুত্তর দেয়নি উক্ত ব্যক্তি। সে আরো জানায়,আমি খামারে থাকা হাঁসগুলো সুস্থ রাখতে সব সময়ই হাসঁগুলো যত্ন নিতাম।
এ দিকে অদ্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রেজাউল তার খামারে অজ্ঞাত রোগে মারা যাওয়া ১ বস্তা মরা হাসঁ নিয়ে জেলা ভেটরিনারি হাসপাতালে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ডাঃ কবির উদ্দিন আহমেদেও সাথে দেখা করলে সে রেজাউলকে জানায়,এটা তার দ্বায়িত্ব নয়। এটা পোষ্ট অফিসের সামনে থাকা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের কাজ। আপনি সেখানে যান তারাই একটি সুরাহা করে দেবেন। কিন্তু রেজাউলের তোপের মুখে পড়ে ডাঃ কবিরউদ্দিন বলেন,এটা ডাকপ্লেগের কারনে এমনটা হয়েছে। আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি আপনি এটাকে ভালভাবে ব্যবহার করুন এবং ৫দিন পরে কি অবস্থা হয় তদা জানাবেন।